সুরভী তোমাকে বলছি

রাত্রি এলে দু’চোখ যখন বুজি
তখন তোমার মুখখানাই খুঁজি।
মায়াবী মুখখানা ভেসে এলে
ভিজে যায় দু’নয়ন অশ্রুজলে।

মনে মনে বলি, কেন চলে গেলে?
কল্পনার তুমি শুধু হাসো আর হাসো,
আর বলো, ‘কেন এতো ভালোবাসো?’

আমি নিজে নিজেই অঙ্ক কষি
সত্যিইতো কেনো এতোটা ভালোবাসি?
শুধু জানি, কোথাও কখনও দেখিনি এতো মায়াভরা মুখ আমি।
তোমার তুলনা তুমি, শুধু যে তুমি।

সুরভী, তোমার মায়াবিনী মুখ আমায় দেয় প্রচণ্ড সুখ।
তোমাকে ছাড়া বড্ড অসহায় এই হৃদয় বেচারা!
তোমায় যে বড্ড ভালোবাসি। ভালোবাসি। ভালোবাসি।
যেমনি আকাশকে ভালোবাসে রাতের শশী।

প্রিয়তমা, আমি মিথ্যে বলছি না একরত্তি
আমার ভালোবাসা যে সত্যি, রাতের তারার মতো সত্যি।
যদি থাকতো ভালোবাসার নিক্তি
তবেই বুঝতে সেই ভালোবাসার শক্তি।

সুরভী, আজও আসে না দু’চোখে ঘুম
যদি না দিই তোমার ছবিতে চুম।
বরষায় আজও কিনি ‘কদম’ তোমাকে দেবো বলে
কিন্তু সেই কদম ভিজে দু’নয়নের জলে।
কতো কথা বলবো তোমায় ভাবি আমি সখি
সেই কথার ফুলঝুরিতে কবিতা লিখি।

পৌঁছুবে কি কোনোদিন তোমার কাছে আমার কবিতা?
কবিতা পড়ে পড়বে কি মনে হারানো দিনগুলোর কথা?
তুমি ক্ষণিকের জন্যে যাবে কি পিছনের দিনে ফিরে?
যেদিন আমি ছিলাম তোমার সমস্ত হৃদয় জুড়ে।

কী হবে আর পিছনে ফিরে!
জীবনতো শুধু বর্তমানকেই ঘিরে।
শুকনো ফুলে থাকে না কোনো ঘ্রাণ
তাজা ফুলের কাছে শুকনো ফুল যে বড় ম্লান!
এমন কেন হয়? কেন এমন হয়ে যায়?
যাকে চেয়েছি প্রতিটিক্ষণ –
চিরদিনের জন্য কেন সে হারায়?
হয়তো হারিয়েছো তুমি জানা কোন ঠিকানায়
কাছে থেকেও যায় না দেখা তোমায়, মুখ যে ঢাকা কুয়াশায় ।
তবুও এ হৃদয় বারেবার তোমাকে চায়
থাকে প্রতীক্ষায়, অনাগত একটি দিনের প্রতীক্ষায়।

যদি কোথাও কোনোকালে তোমাকে আবার ফিরে পায়!
আরেক জীবন আছে এই জীবনের শেষে
সেদিন কি তুমি আসবে কাছে আমায় ভালোবেসে?
কথা দাও ‘সুরভী’ তুমি আসবে সেদিন ফিরে,
আমি থাকব তোমার প্রতীক্ষায় হাজার বছর ধরে।
পরের জন্মে কোনো জলাশয়ের ধারে
‘সুরভী’ তুমি আবার আসিও ফিরে ।

২০-১২-১৯৯৬

Share:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *