বিপথে পা ফেললেই
পেছন থেকে জামাটায় খামচে ধরে বিবেক মশাই।
শুঁকে বেড়ায় বৈধ অবৈধের ঘ্রাণ উপার্জিত অর্থে,
অনৈতিক কামাগ্নিতে ঢেলে দেয় শীতল জল,
অনুশোচনার চুল্লীতে আগুন জ্বেলে দগ্ধ করে অহর্নিশি,
ইঁদুরের মতো কেটেকুটে করে নাশ বুননকৃত প্রতারণার জাল।
তাই বুঝি রেখেছো তারে অযত্নে অনাদরে,হৃদয়ের আস্তাকুড়ে!
করোনি আপ্যায়িত ন্যায়ের হালুয়ায়, নীতির রুটিতে।
অথচ সুঠাম দেহী বিবেক মশাই যেনো আজ কঙ্কালসার!
অতঃপর তল্পিতল্পা গুটিয়ে হৃদয় ছেড়েই পগারপার।
বিপথে দৃষ্টি ফেললেই
পেছন থেকে পিঠ চাপড়ে দেয় অসুর।
কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কুমন্ত্রণা দেয় বিত্তের চূড়ায় আরোহনের,
হিংসার আগুনে ঢালে ঘি,
বাতলে দেয় বহুগামি পথের নকশা,
নীলনকশা বাস্তবায়ন প্রকল্পে হয় ছায়াসঙ্গী।
তাই বুঝি সযতনে রেখেছো তারে,হৃদয়ের মণিকোঠরে!
আপ্যায়িত করেছো লালসার লাল মাংসে,কামনার মদে।
দিনশেষে অসুরটা হয়ে উঠেছে কেমন হৃষ্টপুষ্ট!
স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদে তাই হৃদমাঝারেই বসত গড়ে।
মানুষগুলো আজকাল একেকজন হয়ে উঠছে বিবেক শূন্য অসুর।