আয়নাতে চোখ পড়লেই চমকে উঠি আজকাল।
কুৎসিত,বিভৎস মুখাবয়ব দর্শনে মুহূর্তেই সরিয়ে নেই দু’চোখ।
নার্সিসাসের মতো একদিন আমিও ছিলাম মগ্ন আত্নপ্রেমে
আয়নাতেই দিয়েছিলাম তাই দৃষ্টিমগ্ন ডুব।
ডেরা ছেড়ে পালানো সেইসব আয়নাপ্রীতি আজ যে বাস্তুহারা!
আষ্টেপৃষ্ঠে করেছে গ্রাস শুধুই আয়নাভীতি।
পরিত্রাণের আশায়
একদিন আয়নাটাকেই আছড়ে মেরেছিলাম মেঝেতে।
ঠুনকো সেই আয়নায়ও দেখেছি গ্রিক পুরাণের দৈত্য হাইড্রার রুদ্রমূর্তি!
ভাঙ্গা আয়নার একেকটি টুকরো একেকটি কদাকার অসুর হয়ে তেড়ে এসেছিলো আমারই দিকে।
ভীত সন্ত্রস্ত এই আমি দু’চোখ দুহাতে ঢেকে শুধুই পিছু হটেছি।
সেই থেকে পারতপক্ষে আয়নাটাকে এড়িয়েই চলি
অহোরাত্র আয়নার সাথে লুকোচুরি খেলি।
সেই লুকোচুরি খেলাতেও বড্ড বেশী হাপিয়ে উঠেছি আজ।
হাতছানিতে ডাকে তবুও সেইসব আয়নাপ্রীতি দিন!
চাইনা দিতে চুমুক নেমিসিসের বিষের পেয়ালায়,চাইনা যে হতে লীন!
হারকিউলাসের শক্তিতে তাই বধ করতে চাই আয়নার ভেতরকার ঐ অসুরটাকে।
তোমরা আমায় ঘাতক,খুনী কিংবা হত্যাকারী যে নামে ডাকার ডেকো।
আয়নাতেই তাকিয়ে থাকতে চাই আমি মুগ্ধ নয়নে।