Faijus Salehin Bhuiyan

Faijus Salehin Bhuiyan

আশা জাগানিয়া গান

পুনঃ পুনঃ প্রভঞ্জনে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে স্বপ্নের শান বাঁধানো ঘাট। আশাগুলো যেন বালির বাঁধ, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগেই ভেঙ্গেচুরে হয়েছে খানখান। প্রত্যাশাগুলো সব অঙ্কুরেই হয়েছে বিনষ্ট। ফসলের গোলাগুলো যেন ভূগছে স্পর্শসুখের অতৃপ্ততায়। আর আমি,এখন আর সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পাই…

আনন্দ ভ্রমণ

ক্লান্তিহীন ডানা ঝাপটানিতে গাঙচিলেরা কেমন ছুটে চলে নারিকেল জিঞ্জিরায়! অলস ডানা নিয়ে নিথর পাথর হয়েই পড়েছিলাম এতোদিন,একঘেয়ে এক পিঞ্জিরায়। দেখো,ইষ্টিমারের ঘর্ষনে নাফের জলে কতোইনা সুন্দর সফেদ ফেনা! বিশুদ্ধ সমীরনে ভুলেছি আজ জটিল সব সমীকরণ কিংবা লেনাদেনা। আগন্তুকের চোখের তারায় মুগ্ধতার…

নিয়তি

দিনশেষে নিয়তির ঘাড়েই চাপিয়ে দেয়া হয় যাবতীয় ব্যর্থতার দায়ভার। তীক্ষ্ণতা হারানোর ইতিহাস ঠিকই জানে মরচেধরা কাস্তে,খুন্তি কিংবা কুঠার। তপস্যার ছিপেই কেবল ধরা দেয় সৌভাগ্যের তপসে মাছ। না মেলে ইচ্ছেডানা ছুঁয়েছে কে কবে সাফল্যের আকাশ? তুমিই ভাস্কর তোমার ভাগ্যদেবীর;গড়ো নিজের মতোন…

ডুমুরের ফুল

উন্মোচিত রাখে না সে তার পুষ্পদল। সমীরণে ছড়িয়ে দেয় না সুবাস। দর্শকের মনোরঞ্জনে নিজেকে করে না আকর্ষক। অলিরা তাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে না তার দুয়ারে। রঙ্গিন প্রজাপতিরাও পরিব্রাজকের ন্যায় ঘুরে বেড়ায় না তার আঙ্গিনায়। তার রূপ আর বর্ণেতে উদাস হয়…

ঘাত প্রতিঘাত

কি অবলীলায় দ্বিধাহীন হস্তে করেছিস আমার মুখাগ্নি! প্রগাঢ় চুম্বনে পুড়িয়েছিস প্রতিক্ষণ। পুড়তে পুড়তে পরিশেষে হয়েছি পরিত্যক্ত ছাই উপভোগ্য দৃষ্টিতে করেছিস অবলোকন তিলেতিলে সেই ক্ষয়ে যাওয়া। পুড়ে পুড়ে ছাই হতে গিয়ে আমিও রপ্ত করেছি নিউটনের তৃতীয় সূত্র। ঘাতের বিপরীতে তাই করেছি…

বৈসাদৃশ্য

বোধের চিত্রকল্প আঁকতে গিয়ে অজান্তে আঁকি ব্যধি, যাতনা পোড়াতে গিয়ে চেতনা, গুরুচন্ডালী দোষগুলো কাটছাট করতে গিয়ে ছেঁটে ফেলি দ্যোতনা বাহুল্য- মেদ ঝেড়ে ফেলতে গিয়ে ঝাড়ি বালখিল্য হাসি। মুখশ্রীর সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে গিয়ে দেখি আদতে তা মুখোশ বুকের গহীনে পুষে রাখা…

পরিণাম

ভেবো না শীতেরা আর জেঁকে বসবে না কখনই, এই মাঘ গেলে। কালো মেঘেরাও আর বসাবে না করাল থাবা, আকাশের ঐ নীলে। মাঝ দরিয়ায় তুফান এলেই বুঝি স্রষ্টার নাম মুখে জপ অন্যথায় বারংবার ভুলের বাহুডোরে নিজেকে কেবলি সঁপো। জীবনের গোড়াপত্তন থেকেই…

উড়াল দেয়া পাখি

প্রতিশ্রুতি ছুঁড়ে ফেলে উড়ে যায় পাখি ধ্রুপদী বিষন্নতায় একা পড়ে থাকি নিভৃতে,নির্জনতায় স্মৃতি কেনো নড়ে? জেগে উঠলে স্মৃতিরা, অশ্রুবিন্দু ঝরে। অশ্রুবিন্দু যোগ হয়ে যেনো হয় রেখা উড়াল দেয়া পাখিটা দেয় না যে দেখা!

ঝরা শিউলি

এখন আমি জাফরানি বর্ণের বৃন্ত সমেত ঝরে যাওয়া কোন শিউলি ফুল লাভ নেই তাতে একবিন্দুও, যদি হও সুবাসিত সেই রাতের জন্য ব্যাকুল! কতো রাজ্যের ঘুম জমা ঐ দু’চোখে, শিয়রে ঘুমপাড়ানি মাসি পিসি আর তাই বুঝি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই করে দিলে পার…

হাওয়া বদল

জবড়জং হয়েই আটকে আছি সেই চেনাগলির চোরাবালিতে। হাওয়া বদলের অভিপ্রায়ে পাখিরাও দেয় পাড়ি হাজার ক্রোশ পথ! ইকারাসের ডানায় পেরুতে চেয়েছিলাম প্রতিবন্ধকতার সুউচ্চ পাঁচিল। রূঢ় বাস্তবতার প্রখর উত্তাপে হয়েছে যে বিগলিত মোমের সেই ডানা! গতানুগতিকতার শিকলে বাঁধা মনটা হতে চায় চনমনে…